মো. নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ : আন্তর্জাতিক সেরা সব রিসোর্টকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের ইনানী বিচে গড়ে তোলা ফাইভ স্টার হোটেল রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পাকে তিনটি ক্যাটাগরিতে পৃথিবীর সেরা বিচ সাইড লাক্সারি রিসোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গ্লোবাল অর্গানাইজেশন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড লাক্সারি হোটেল অ্যাওয়ার্ডস।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিসেস লুসি আখতারি মহল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. আমিনুল হক শামীম সিআইপি এবং পরিচালক ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। তারা পৃথক প্রতিক্রিয়ায় জানান, বিশ্বের উন্নত সেবা দিয়ে আমরা এই অর্জনটা পেয়েছি। বিশ্বের
নামিদামি রিসোর্টকে পেছনে ফেলে আমাদের এই প্রাপ্তিটা সমগ্র বাংলাদেশের গর্ব। এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উন্নতি কামনা করছি।
সি পার্ল কর্তৃপক্ষ জানায়, সেরা বিচ সাইড লাক্সারি হোটেল অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি সেরা লাক্সারি স্পা’র অ্যাওয়ার্ডও জিতেছে সি পার্ল। এছাড়া সেরা জেনারেল ম্যানেজার অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র জিএম আজিম শাহ।
সংবাদ সম্মেলনে জিএম আজিম শাহ বলেন, পৃথিবীর মধ্যে সেরা বিচ-সাইড লাক্সারি রিসোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ও নিজে সেরা জিএম হিসেবে অ্যাওয়ার্ড জেতায় আমি উচ্ছ্বসিত। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সি পার্ল পরিবার অত্যন্ত সম্মানিত ও আনন্দিত। এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র সি পার্লের নয়, পুরো বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য এটি একটি অনন্য স্বীকৃতি। এই অর্জন লাক্সারি রিসোর্ট হিসেবে নয়, যা আমাদের অতিথিদের সেবা প্রদানের নিশ্চয়তার দায়বদ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
দেশের ভ্রমণপ্রিয় ট্র্যাভেলারদের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকদেরকে সেরা মানের সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বসেরাদের কাতারে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা। সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় সি পার্ল দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও স্বীকৃতি পাবে বলে আশাবাদী আজিম শাহ।
তিনি বলেন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের দক্ষ ব্যবস্থাপনা, চৌকশ মার্কেটিং, সেলস কার্যক্রম, সুদক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, আকর্ষণীয় সেবা ও আতিথেয়তা আমাদেরকে ব্যবসায়িকভাবে শক্ত অবস্থা ধরে রাখতে সক্ষম করেছে। আমাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রম, পরিচালনা পর্ষদের সঠিক দিকনির্দেশনা, বিভিন্ন কমিটির সদস্যদের সঠিক ও কার্যকরী উপদেশ, পরামর্শ, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঠিক ও দৃঢ় নেতৃত্ব আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানের শেষভাগে কেক কেটে অ্যাওয়ার্ড জয়ের উদযাপন করা হয়।
২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের ইনানী বিচে ২৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই পাঁচ তারকা হোটেলে ৪৯৩টি কক্ষ ও স্যুট রয়েছে ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: