নিউজ ডেস্ক : টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের চালক রেল শ্রমিকদের উড়ানো লাল নিশানার তোয়াক্কা না করে, মেরামতের সময় ভাঙা লাইনে দ্রুত গতিতে ট্রেন চালিয়েছেন । প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চালকের খামখেয়ালিতে ঘটতে পারতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং হতে পারতো জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
ঘটনাস্থল থেকে সংবাদকর্মীরা জানান, দুটি লাঠিতে বড় লাল নিশানা পুঁতে রাজশাহী আড়ানীর বাগমারী রেলগেটে ভাঙা লাইন মেরামত করছিলেন রেলের কর্মীরা। সাথে ছিল বিভিন্ন সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ। লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে সেই কাজ দেখছিলেন গণমাধ্যমের কর্মী ও স্থানীয়রা।
টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুরে যাত্রী নিয়ে আসছিলো রাজশাহীতে। রেলের তারবার্তা আর লাল নিশানা দেখে ট্রেনটি থেমে তারপর ধীরগতিতে লাইন ভাঙার স্থানটি পার হবে - এমনটি ভেবেছিল সবাই। কিন্ত বাস্তবে ঘটেছে উল্টোটা। চালক লাইনের ওপর থাকা লাল নিশানা উড়িয়ে দিয়ে দ্রুত গতিতে ভাঙা অংশ পার হয়। এ সময় রেলের কর্মীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা দ্রুত সটকে পড়ে কোনরকমে নিজেদের রক্ষা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চালকের ভুলে হতে পারতো বড় ধরনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি। অনেকটা অলৌকিকভাবে এ যাত্রায় পাওয়া গেছে রক্ষা।
সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুততার সাথে ভাঙা লাইন পার হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসীও। ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে ট্রেন থামলে চালককে মারধর করতে উদ্যত হন তারা। ট্রেনে থাকা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার বলেন, চালক যেটি করেছে সেটি চরম অন্যায়। কেন করলো সেটি জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে মঙ্গলবারই প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার সকালে আড়ানীর বাগমারী রেলগেট রেল লাইন ভাঙা দেখতে পেয়ে স্থানীয় কৃষকরা লাল গামছা উচিয়ে ট্রেন থামায়। পরে রেল কর্তৃপক্ষ রেল লাইন মেরামত করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: