নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুরের মাদারগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে ফলে হারিয়ে যাওয়ার পথে চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল গ্রাম। তিন বছরে প্রায় চারশত পরিবারের ভিটেমাটি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া বসতবাড়ি মসজিদ, স্কুল করবস্থানও বিলিন হয়েছে। নতুনকরে তিন মাসের ভাঙ্গনেই প্রায় ১৫০টি পরিবার সহায় সম্বল হারিয়েছেন। এখনো ভাঙ্গণ অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বিভিন্ন সময় জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পছন্দমত ঠিকাদারের মাধ্যমে। যারা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ঠিকাদার। তাদের বিরুদ্ধে বরাদ্দকৃত চার কোটি টাকা অনিয়ম করে টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ করে এলাকাবাসী।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, পাকরুল গ্রামের ৫০-৬০ ভাগ নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষেরা বসতবাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। সবহারানো মানুষগুলোর শেষ আশ্রয় হয়েছে অন্যের জমিতে এবং খোলা আকাশের নিচে। এখনো হুমকির মুখে পাকরুল এলাকার শত শত বসতবাড়ি, আশ্রয়ন কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, গাছপালা, ফসলি জমিসহ রেড ক্রিসেন্ট কমিউনিটি মিটিং সেন্টার এবং হিদাগাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে হিদাগাড়ী ও কোয়ালীকান্দি গ্রামও।
ভোক্তভোগীরা বলেন, ভাঙ্গন শুরু হলেই পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ ফেলা হলেও তা নদীগর্ভে চলে যায়। তাই কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আহজার উদ্দিন ফকির বলেন, গত ৩ বছরে ভাঙ্গণে পাকরুল গ্রামের ৬০ ভাগ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪০০টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকার যদি ভাঙ্গণ রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয় তবে পাকরুল এলাকার ৪০ ভাগ এখনো রক্ষা করা সম্ভব। তাই অতি দ্রুত সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি ভাঙ্গণ রোধে যেন কার্যকরী ব্যবস্থা করা হয়।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নকিবুজ্জামান খান বলেন, দেড় হাজার মিটার এরিয়ার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া আছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: