নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা শীত এলেই সঞ্চালন লাইনের (তিতাস) গ্যাস সংকটে পড়েন। রান্না করতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে। বাধ্য হচ্ছেন সিলিন্ডার বা লাকড়ির চুলা ব্যবহার করতে। তিতাসের বিল দিলেও আবার গ্যাস সিলিন্ডার কিনে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
তিতাস বলছে, সঞ্চালন লাইনের কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই গ্যাস সংকটের সমাধান হবে বলে আশ্বাস তিতাসের এমডির।
শীত আসলেই সঞ্চালন লাইনের (তিতাস) গ্যাস সংকটে পড়েন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
রাজধানীতে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল হতেই চুলা জ্বালানোর নিরন্তর চেষ্টায় থাকেন গ্যাস না পাওয়া এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু শীতকাতর নগরীর সঙ্গে গ্যাসের যেন আড়ি। বহু সাধ্য সাধনায় দেখা মেলে না অগ্নিশিখার। কোথাও আবার দেখা দিলেও নিমিষেই নিভে যায় চুলা। এমন চিত্র হাতিরপুল, কাঁঠালবাগানসহ ঢাকার অনেক এলাকার। তীব্র গ্যাসের সংকটে দিন পার করছেন তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সময়মতো রান্না করতে না পারায় ব্যঘাত ঘটছে পুরো পরিবারের খাওয়া দাওয়ায়। অথচ মাসের পর মাস তিতাসের বিলের টাকা গুণতে হচ্ছে তাদের।
অনেকে বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন সিলিন্ডারের গ্যাস। সিলিন্ডার বিক্রেতারাও বলছেন চাহিদা বেড়েছে তাদের পণ্যের।
হাতিরপুল এলাকার এক গৃহিণী বলেন, সকালে গ্যাস থাকেই না। রান্নায় সমস্যা হচ্ছে। সকাল ৭টা বা সাড়ে ৭টার দিকে গ্যাস চলে যায়, আবার আসে আড়াইটার দিকে। তখন কীভাবে রান্না হবে। তখন তো মানুষের দুপুরের খাবারের সময়। বেশির ভাগ সময় হোটেল থেকে কিনে এনে খেতে হচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের খরচটা বেড়ে গেছে আরও।
রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে গ্যাস একদমই থাকে না। ব্যবহার করতে হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস। তবে প্রতি মাসের গ্যাসের বিল দিতে হচ্ছে, বলেন আরেক গৃহিণী।
এক সিলিন্ডার বিক্রেতা বলেন, রাজধানীর বেশির ভাগ স্থানে লাইনের গ্যাস (তিতাস) থাকে না। এ কারণে আমাদের সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি বেড়েছে।
আবাসিকে গ্যাস সংকটের কথা স্বীকার করছে তিতাস। তাদের দাবি, শীতে সঞ্চালন লাইনে সমস্যার কারণেই এই সংকট। এ মাসের ১৯ তারিখের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস তাদের।
কাঁঠালবাগান এলাকার এক গৃহিণী বলেন, লাইনের গ্যাস না থাকায় বাধ্য হয়ে লাকড়ির চুলা ব্যবহার করতে হয় আমাদের। এভাবে আর কতদিন চলতে পারব জানি না।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশীদ মোল্লাহ জানান, এ সময়ে গ্যাস সংকট সাময়িক। ১৯ তারিখের মধ্যে কিছু গ্যাস বাড়তে পারে। গ্যাস চলে আসছে। লাইন ঠিক হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: