নিউজ ডেস্ক : ডেঙ্গুতে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরদিন শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এটাই চলতি বছরের সর্বোচ্ছ। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৬০ জন।
এডিস মশার লার্ভা নিধনে সিটি করপোরেশনের গাফিলতি দেখছেন রাজধানীবাসী। প্রতিদিন আক্রান্ত বাড়লেও অভিযোগ মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ময়লা থাকলে মশা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় ওষুধ প্রয়োগ কম হচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি খোঁজ নেয়া হচ্ছে না।
রাজধানীর মিরপুর, দক্ষিণ বনশ্রী, মেরাদিয়া বাজার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রেন ও খালে পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড এবং বিভিন্ন পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি। এতে বাধা পাচ্ছে পানির স্রোত। যা লার্ভা সৃষ্টির অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি হতে পারে আরও ভয়াবহ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনগণকে এই ডেঙ্গু নিধন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি সকাল-বিকেল এডিস মশার লার্ভা নষ্ট ও জীবন্ত মশা নিধনের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং করা হচ্ছে। নিয়মিতই চলছে এ কার্যক্রম।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রশিক্ষণ দিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাজে পাঠানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। কারণ দৈনন্দিন আমাদের ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম চলছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: