বিশেষ প্রতিনিধি : কুলাউড়ায় একই পরিবারের তিন বোন তিন জেলা থেকে ভাষা আন্দোলন করেন , এরা হলেন, রওশন আরা বাচ্চু ,হোসনে আরা বেগম ও ছালেহা বেগম। ভাষাসৈনিকদের পৈত্রিক এজমালী বাড়ি জমি ও পুকুর ভাগবন্টনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঐ পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের তিনজন সহজ সরল সদস্যের নিকট হইতে পরিকল্পনা মোতাবেক পিস্তল উচিয়ে বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী সফী আহমেদ সলমান , ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি এবং ভাষাসৈনিকদের মুল্যবান অবিভক্ত এজমালী সম্পত্তি দখল ও ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী পুকুরের একাংশ (৭ শতক) পনবিহীন অবৈধ দলিল সম্পাদনের দ্বারা রেকর্ড করেন ।
করোনাকালে ২০২১ সালের মার্চ মাসে তিনি ক্ষমতাবলে পুকুরটি ভরাট কালে পরিবেশ ও জলাধার আইনে দোষি প্রমানিত হয়ে এক লক্ষ টাকা জরিমানা দেবার পরও সম্প্রতি আবারও প্রশাসনের নাকের ডগায় পৌরসভার মেয়রের সম্মতিতে একশ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তার ইন্ধনে , অবৈধ প্রক্রিয়া প্লান পাসের মাধ্যমে ও আদালতের বাটোয়ারা মামলা চলাকালে উক্ত এজমালী জমিতে (বন্টননামা ছাড়া ) বহুতল ভবন নির্মানের সাইনবোর্ড টাংগিয়ে ও পিছনে ঐতিহ্যবাহী পুকুর ভরাট করে এবং জনগনের প্রতিনিধিত্ব কারী হওয়ার পরও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ,জনপ্রিয়তা ও ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন করার অপচেষটায় নির্বাচনের পুর্বে সরকারী সুযোগ সুবিধা, অসাধু প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ও সাধারন জনগনের নিকট জানমালের নিরাপত্তা ও আতংকের পরিবেশ তৈরী করে চলেছেন , বিগত সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ ঐ দলিল সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষনিক ভাবে কুলাউড়া থানায় একটি জিডি করেছেন জিডি নং ৯১৫।
পরবর্তীতে ভাষাসৈনিকের সন্তানগন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে ২৩/৯/২১ ইং তারিখে প্রেস কনফারেন্স করে দেশবাসী সকলকে অবগত করেন , তাদের দাবী বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত হয় ।সফি আহম্মেদ সলমানের এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এলাকাবাসী,এ ব্যপারে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ও সরকারী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এবং সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সুদৃর্ষ্টি কামনা করেন কুলাউড়ার সর্বস্তরের সাধারন জনগন ও শান্তিপ্রিয় এলাকা বাসী ।
উল্লেখ্য উক্ত সলমান আওয়ামীলীগের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও বর্তমানে ধানের শীষ প্রতিকের এম পি , সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের হাত ধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন ১৭/০৪/২০১১ ইং তারিখে ।
এই সলমান একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাফিয়া ডন হয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ প্রার্থী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে কিছুকেন্দ্রের জোরপুর্বক ফল জালিয়াতি করে , চেয়ারম্যন হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং জনপ্রতিনিধি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন ।
ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জনমনে বিভ্রান্তিসহ তার ও তার অপর ভাই গিলমানের বিরুদ্ধে ভয়ানক সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ভুমি দস্যুতা সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের কাছে । এই ব্যপারে সফি আহম্মেদ সলমানের সাথে মুঠোফোনে ( 017 4364 9664) কথা বলার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: