• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ড. চঞ্চল সৈকত বিরচিত মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রামাণ্য দলিল গ্রন্থ "বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা "


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১১ পিএম
ড. চঞ্চল সৈকত বিরচিত
মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রামাণ্য দলিল গ্রন্থ "বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা "

জাকির হোসেন আজাদী: বহুদিন পর বঙ্গবন্ধু  ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি অনন্য অসাধারণ গ্রন্থ পাঠ করলাম। গ্রন্থটিতে নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক, কবি, ঔপন্যাসিক, গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গবেষক, সংগঠক, সমাজসেবক ও ব‍্যাংক কর্মকর্তা  ড.  চঞ্চল সৈকত  মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রামাণ্য দলিল উপস্থাপন করেছেন সুনিপূণ ভাবে। এক নিমিষেই পড়ে ফেলার মত একটি সুখপাঠ‍্য অভিসন্দর্ভ গ্রন্থ হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা গ্রন্থটি।

গ্রন্থটিতে লেখক  পরিষ্কার  ভাবে তুলে ধরেছেন “বঙ্গবন্ধু” মানে স্বাধীনতা, "স্বাধীনতা মানে বঙ্গবন্ধু”,। “বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা”—এ ছিল ১৯৭১ এর ২৬ মার্চের স্বতঃস্ফূর্ত যুদ্ধযাত্রার একান্ত বিবেচনা। বরং বলা যায় সঠিক সময়ে সঠিক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুপ্রেরণা। নয় মাসের রক্তস্নাত বাংলাদেশই আমাদের স্মরণকালের ইতিহাস বাঙালি জাতির প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র যার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের বিস্তৃত টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া অবধি যা পূর্বাহ্নে খন্ডিত পূর্বতন বঙ্গদেশের পূর্বাংশে। বস্তুত এই অংশই পূর্ণ বিকশিত হয় বাঙালির জাতিসত্তা। 

তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামের কাছাড়সহ বাংলাভাষিক অন্যান্য এলাকাসমূহ বৃহত্তর
ভারতীয় মহাজাতিসত্তার মধ্যে অন্তলীন। ভারতের অঙ্গরাজ্যরূপে প্রশমিত ঐসব জনপদসহ সর্ববঙ্গে অতীতে আবির্ভাব ঘটেছে ক্ষণজন্মা নেতৃপুরুষের—নেতাজী, দেশবন্ধু, শেরে বাংলা, সূর্যসেন প্রমুখ। তাদের কারো আমলেই আমাদের জাতীয়তা তথা জাতিসত্তার পূর্ণ বিকাশ ঘটেনি, কেউই তারা বরিত হননি বাঙালির নেতৃত্বে, পাননি নিজ নিজ দেশকালে মাতৃভূমির স্বাধীনতা ঘোষণার ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের অবকাশ। সংশ্লিষ্ট সময়ে জনগণের সর্বসম্মত সমর্থন, দেশে ও বিদেশে বিপুল জনপ্রিয়তা, নিজ দেশে পেশাজীবী সামরিক বাহিনীর একাংশের আনুগত্য ও সবার ওপরে তাৎক্ষণিকভাবে “ছায়া সরকার” গঠনের প্রস্তুতি এই সবই বঙ্গবন্ধুর ওপরেই বর্তেছিল ১৯৭০ এর গণভোটে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে। 

মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের স্থানটুকুই নয়, বরং যখন যেখানে অবস্থান, সেই স্থানই মুজিবনগর। দেশব্যাপী যুদ্ধক্ষেত্রে প্রশিক্ষণরত কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয় শ্লোগান—জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে প্রচারিত বাণী- ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের আর একটি নাম মুজিবুর'।

মহাকালের মহামানব বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় যতো কবিতা, গান,সগল্প, প্রবন্ধ রচিত হয়েছে এবং হচ্ছে, বিশ্বের আর কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ততো লেখা রচিত হয়েছে কিনা সন্দেহ। ভারতের সাবেক এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তার আত্মজীবনীমূলক গ্ৰন্থ 'মাই ট্রুথ’ (১৯৮০) এ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে এক জায়গায় লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু খুবই আবেগচালিত, উষ্ণ হৃদয়ের মানুষ, একজন আইন প্রণেতার চেয়ে বেশি সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা।

 ফিদেল কাস্ত্রোর মতন নেতাও বলেছেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি'। অথচ সেই  বিশ্ববন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে হত্যা করা হয়। তার নয় বছর পর ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ইন্দিরা গান্ধী একইভাবে ঘাতকের বুলেটে নিহত হন। হত্যাকারীরা এই উভয় কিংবদন্তিরই পরিচিত ছিল। দুজন নেতার করুণ মৃত্যু তিনিই বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সৌহার্দের মৃত্যু ঘটেনি। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর বিশ্ববন্ধু হয়ে ওঠার অভূতপূর্ব নজিরবিহীন ঘটনাই প্রমাণ করে যে,গণতন্ত্রের মানস কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাটছেন।ছিল বেশ হৃদয়স্পর্শী। যেন দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটলো। সাক্ষাৎ হতেইবাংলাদেশে আসেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময়টি একমাত্র বিশ্ববন্ধু। 

১৯৭২ সালের ২৪ শে মে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবির মাথায় শরীরে বারবার হাত বুলিয়ে দিতে থাকলেন আর কবি নজরুল ‘নির্বাক কবি’ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন বঙ্গবন্ধুর দিকে। হাত বাড়িয়ে বিড় বিড় করে কি যেন বললেন। কিন্তু মুখের ভাষা বোঝা গেল না। দুবোধ্য সেসব কথা। বিদ্রোহী কবি ও তার পরিবারবর্গ সেদিন ছিলেন ধানমন্ডির ২৮নং রোডের এক দ্বিতল বাড়িতে। কলকাতা থেকে ঢাকা আসায় কবিকে দেখতে যান বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির দিনটি ‘বিশ্ববন্ধু’ হওয়ার স্মরণীয় দিন। 

১৯৭৩ সালে এই পদক প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। দেশ ও জাতি হয়েছিল গর্বিত। বিশ্ব শান্তি পরিষদ বাঙালি জাতির রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা বঙ্গবন্ধুকে “জুলিও কুরি” পদকে ভূষিত করেছিল। বঙ্গবন্ধু সর্বদা শান্তিকেন্দ্রিক অহিংস গান্ধিবাদী রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দর্শনের পথ অনুসরণ করেছিলেন। তিনি তার জীবনের এক চতুর্থাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন।

বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে পদার্থ বিজ্ঞানী মেরি কুরি ও পিয়েরে কুরির অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সমাজবাদ বিরোধী সংগ্রামে ও মানবতার কল্যাণে শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি ও সংগঠনকে 'জুলিও কুরি’ পদক দিয়ে আসছে। ফিদেল কাস্ত্রো, হোচিমিন, ইয়াসির আরাফাত, সালভেদর আলেন্দে, নেলসনম্যান্ডেলা, জহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিং, লিউনিদ ব্রেজনেভের মতো বিশ্ব নেতারা এই পদক পেয়েছেন।

বিশ্ব শান্তি পরিষদের শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। এই মহান অর্জনের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু থেকে পরিণত হন বিশ্ববন্ধুতে। বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙালি যিনি এই বিরল আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন; যা আমাদের দেশ ও জাতির জন্য বিরাট গর্বের বিষয়। পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে।

মহাকালের মহামানব বঙ্গবন্ধুর বিশ্ববন্ধু হওয়ার কাহিনী পড়ে, দেশের জন্য জীবনের এক চতুর্থাংশ সময় কারাবরণ করা, জন্মগ্রহণ করার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী পড়া, মুক্তিযুদ্ধের নাটকে সরাসরি অংশগ্রহণ, সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের নাটক লেখা অভিনয় নির্দেশনা আমার গবেষণা অভিসন্দর্ভ “A Study on Cultural Impact on Economic Development Bangladesh Perspective" এর রিসার্চ বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত অসংখ্য বই পড়া, ডকুমেন্টারিসহ অসংখ্য লেখা পড়ে 'বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা’ বইটি লেখার মানসিক দায়বদ্ধতা অনুভব করি। ‘যে গল্পের শেষ নাই। 

লেখক এই ঐতিহাসিক ঘটনার লিপিবদ্ধে স্মরণ করেছেন তাঁর জন্মদাতা পিতা তুলশী দাস সাহা ও জন্মদাত্রী মাতা অনিতা বালা সাহাকে, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে  কোলে করে জীবনবাজি রেখে পরম মমতায় আগলে রেখেছিলেন।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নাট্যগুরু জামাল উদ্দিন হোসেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ও রওশন আরা হোসেনের প্রতি, যাদের অনুপ্রেরণায় নাট্য শিল্পের নিগুঢ় রস আস্বাদন করতে পেরেছেন।

লেখক বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় অর্ধাঙ্গিনী আলপনা সাহা (লাকী) এবং সন্তানদ্বয় দিব্যজ্যোতি সাহা (অর্ক), সৌম্যজ্যোতি সাহা (অভ্র)কে যারা তাঁর সৃষ্টিশীল কাজের জন্য জীবনের অনেক মূল্যবান সময় উপহার দিয়েছেন।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মহাগুরু মঞ্চসারথী আতাউর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্তকে যার নিবিড় ছত্রচ্ছায়ায় নিজেকে নাট্য শিল্পের প্রতিটি শাখায় ঋদ্ধ করার প্রয়াস পেয়েছেন।

লেখক বিশেষ ভাবে আরও  কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নাট্য শিক্ষক ও শিল্পকলা একাডেমির প্রাক্তন পরিচালক এস এম মহসীন, একুশে পদক প্রাপ্ত-কে যার সূচারু পরামর্শে আলোকিত জীবনের নতুন
দিশার উন্মেষ ঘটেছে।বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিজান পাবলিশার্স-এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব লায়ন আ.ন.ম. মিজানুর রহমান পাটওয়ারীকে যার অকুণ্ঠ সহযোগিতায় এই ঐতিহাসিক বইটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাদিয়া রিজভী চৌধুরীকে যার অকুণ্ঠসসহযোগিতা ও সমর্থনে সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা জুগিয়েছে। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অমলেন্দু সাহা, স্বর্গীয় কল্পনা রাণী সাহা, অহন মুগ্ধ, শ্রিয়ণ সাহা, অনিন্দ অনি, অনিন্দিতা অদ্রি, জ্যোতির্ময় অর্ণব, আশিস সাহা, প্রিয়াংকা টুম্পা, তাপস সাহা, কাজলী সাহা, তমাল সাহা, মালবিকা বর্ষাসহ পরিবারের আত্মার সম্পর্কিত স্বজনদের। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নাজিমুদ্দিন, ফিরোজ আহমেদ, মর্জিনা শম্পাসহ অসংখ্য বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষীদের ।

গ্রন্থকার বিশেষ ভাবে আরও  ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাট্যজন অভিজিৎ সেনগুপ্ত, সম্পাদক, ফ্রন্টলাইন থিয়েটার, মাসুদ আলম বাবু, চন্দন রেজা, সাঈদ রহমান, আনিসুর রহমান শাহীন, শেফালী পারভীন সাথী, তাজুল ইসলাম রুবেল, হাসান হারুন, রবীন্দ্র দাস, ইতিসা মন্ডল, মেহেদী রউফ, নজরুল ইসলাম, শরীফ হোসেনসহ অসংখ্য নাট্যজনদের।

লেখক  “বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা” নামক ঐতিহাসিক এই গ্রন্থটি লেখার ভ্রমজনিত দায় স্বীয় স্কন্ধে গ্রহণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জানিয়েছেন প্রণতি । পাঠক হিসেবে আমি বলবো নতুন প্রজন্মের প্রত‍্যেকেরই উচিত এই দুর্লভ ঐতিহাসিক গ্রন্থটি পাঠ করা।


এই ঐতিহাসিক গ্রন্থের  লেখক  ড. চঞ্চল সৈকত বাংলাদেশের  সংস্কৃতি ও ব্যাংকিং জগতে  সুপরিচিত নাম। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ সংস্কৃতি গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। একাধারে নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক, কবি, ঔপন্যাসিক, গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গবেষক, সংগঠক ও সমাজসেবক। 

তার পিএইচডি থিসিসের অভিসন্দর্ভ A Study On Cultural Impact On Economic Development: Bangladesh Perspective
অর্থাৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নে সংস্কৃতির অবদান: বাংলাদেশী পরিবেক্ষণ। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর জয়যাত্রা, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা, মুক্তিযোদ্ধার ডায়েরি, নাট্যসমগ্র-১, গল্পে গল্পে শিশুদের নৈতিক শিক্ষা, প্রকাশিত হয়েছে। রচিত ছড়া- কবিতা-ছোটগল্প-নাটক-গান ইত্যাদিতে মননশীলতার
ছাপ বহন করে। 

ড. চঞ্চল সৈকত পারিবারিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাট্যদল নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি অভিনয় শিল্পীসংঘ, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ, ডিরেক্টরস্ গিল্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালাইমনাই এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য। জনতা ব্যাংক ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। 

তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী সংস্থা, এশিয়ান কালচারাল সোসাইটি, টেনাশিনাসসহ অসংখ্য সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করছেন ।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী  ড. চঞ্চল সৈকত খুলনা জেলার অন্তর্গত ডুমুরিয়া উপজেলার মিকশিমিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image