বগুড়া প্রতিনিধি : আব্দুল মোমিন এই অদম্য তরুণ দৃঢ় মনোবল নিয়ে ১৫ বছর থেকে বিভিন্ন লেখা-লেখির সাথে যুক্ত আছে। ইতিমধ্যে তার লেখা বিভিন্ন গল্প ও কবিতা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি বগুড়া জেলার, সদর উপজেলার পালশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার লেখা ছায়াপথ গল্প এবার অনেকটা আধুনিক আঙ্গিকে পাঠকদের মনে নৈতিক চিন্তা-ভাবনা বিকাশ করতে সক্ষম হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তার লেখা অনেক গল্প ও কবিতা প্রকাশ করতে পাচ্ছে না এই তরুণ অর্থের অভাবে তার মধ্যবিত্ত পরিবারের লেখাপড়ার খরচ চালাতেই হিমশিম খায়। সেখান থেকে বই প্রকাশ করতে পারা কঠিন ব্যাপার বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রকাশনী ও উপর মহলের সাহায্য কামনা করছেন বই প্রকাশের জন্য এই তরুণ লেখক।
ছায়াপথ গল্পটিঃ
হাজারো নক্ষত্র গ্রহ উপগ্রহ নিয়ে তৈরী এ ছায়াপথ। তার আছে বিশাল ক্ষেএ পরিধি, তার বর্ণনার শেষ নেই। এ মহাবিশ্বে এ পৃথিবীর মহাআকাশে আছে অনেক গুলো ছায়াপথ বা (Galaxy)। আমাদের এ পৃথিবী কে ও তার মানুষ কে তুলনা করব আজ। যা থেকে শিক্ষা নিতে পারব অনেক অনেক কিছু।
আমাদের এ পৃথিবী টাও একটা ছায়াপথের অংশ আর এ পৃথিবীতে বাস করি আমরা মানুষ। আমারা মানুষ ও এ পৃথিবীর এক একটা নক্ষত্র আমাদের নিয়ে এ পৃথিবী নামক ছায়াপথ বা (Galaxy) তৈরী। এ পৃথিবীতে তৈরী করে গিয়েছে কোন কোন নক্ষত্র উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা ভোগ করছে এ পৃথিবীর অদম্য নাগরিক গন। আর কেও বা আছে উপগ্রহ যারা অন্যের আলোয় আলোকিত। আবার কেও বা নক্ষত্র পুঞ্জ থেকে ছিটকে পরা বিন্দু মাএ অংশ। সবাই এ পৃথিবী বা ছায়াপথ এর ঐ অংশ। আমরায় পারি উজ্জ্বল হতে আমরাই পারি এ পৃথিবী কে একটি উজ্জ্বল গ্রহে পরিনত করতে। নক্ষত্র গুলো আজ ছুটে চলে তার সাফল্য অর্জনের লক্ষে। আমরা সাফল্য অর্জন করব ও আমারই উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিনত হব। আমাদের পৃথিবীর এক একটা দেশ এ ছায়াপথ এর বিরল গ্রহ। এ গ্রহ গুলো যে যার মতো এ পৃথিবীটানকে উন্নত করার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে।
শুধু এ দেশ গুলো উন্নত হলে হবে না সেখান কার বাসিন্দা বা নক্ষত্র গুলো উন্নত হতে হবে। যাতে এ গ্রহ গুলো যার যা মর্যাদা লাভ করতে পারে। আমরা মানুষ আমরা পারি আমরা পারব আমারাও এ পৃথিবী কে কিছু দিয়ে যেতে চাই। আমরা অদম্য পরিশ্রম করতে পারি আমাদের মেধা খাটাতে পারি আমরা উন্নত ও হতে পারি। আজ মানুষ যদি মানুষের পাশে না থাকে তাহলে এ ছায়াপথ বা পৃথিবীর কোনো উন্নয়ন স্বাদিত হবে না। আমাদের এগিয়ে আসতে হবে ছিটকে পরা নক্ষত্র কে এগিয়ে আনবার জন্য। তারাও যাতে সুজগ পায় উজ্জ্বল হবার। একটি গ্রহই পারে একটি উপগ্রহ কে আলোকিত করতে। আর এ গ্রহের অনু,পরামানু গুলো হলো আমরা। আমরা এক একটি শক্তি অসীম সিমাহিন শক্তি যারা তাদের নিজেদের উন্নতির দ্বারা এ পৃথিবীর উন্নয়ন করতে পারবে। আমরাই এ পৃথিবীর উন্নয়ন করতে পারব আমরা সেই উন্নত নক্ষত্র যারা তাদের আলোর দ্বারা এ পৃথিবীকে আলোকিত করতে পরবে। মানুষ তার চিন্তা চেতনার দ্বারা বিবেক বুদ্ধির দ্বারা এগিয়ে যায়। এ পৃথিবীতে আর অন্য কোনো প্রানি যাদের প্রান আছে তারা পারেনা। মানুষ জন্ম লগ্ন থেকে আজ পযন্ত যারা বেচে আছে তারা অনবরত লরায় করে যাচ্ছে। মায়ের পেটে আমরা যখন সামান্যতম বীর্য বা নাপাক পানি ছিলাম। আর এটি মায়ের গর্ভে যাবার আগ পর্যন্ত নাপাক পানি মায়ের গর্ভে গেলে সেটি। বাচ্চা তৈরী সক্ষম শুক্রানু আর এক ফোটা বীর্যে ৬.৬ মিলিয়ন শুক্রানু থাকে। তাদের মধ্যে তুমি একজন যে ৬.৬মিলিয়ন শুক্রানুর মধ্যে প্রথম স্হান গ্রহন করে এ পৃথিবী বা ছায়াপথ এ এসেছো। যার শক্তি সীমাহীন ও অসীম সেই পারে এ পৃথিবী নামক ছায়াপথ এর একটি উন্নত নক্ষত্র হতে। তুমি তো সেই যে কোনো রকম বাধা বিপত্তি ছারা মাএী গর্ভ থেকে এ পৃথিবীতে এসেছ তো তুমি কেনো হারবে। তুমি হারকে হারাবে হেরে যাবার জন্য তুমি এ পৃথিবীতে আসনি তুমি এসেছ জিততে আর তুমি জিতবে আমি জানি। আর তুমিই হবে সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি কারি নক্ষত্র।
নিজের প্রতি নিজের ভরসা কখন হারাবে না। কেনো অনুপের না কখন কোন মানুষ কাউকে দিতে পারে না। মানুষ নিজেই তার অনুপের না। মানুষ এ পৃথিবী তে অথাৎ কোনো একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র আর একটি নক্ষত্র কে কখনই উজ্জ্বল হিসেবে দেখতে চাইবে না। আবার একটি গ্রহ অর্থাৎ একটি জ্ঞানী মানুষ আরেক জনকে অবশ্যই জ্ঞানী হিসাবে তৈরী করতে চাইবে। এখানে একটি গ্রহ একটি উপগ্রহ কে যেমনি আলোকিত করতে সক্ষম তেমনি একজন জ্ঞানী আর একজন মূখ্য কে জ্ঞানী করতেও সক্ষম। তাই সব সময় জ্ঞানীদের সাথে চলতে চেস্টা করবে কিছু না পেলেও জ্ঞানীদের সাথে মিশে একটু জ্ঞান তো অর্জন করতে পারবে। কখন সেখানে যেওনা যেখানে জ্ঞানী ব্যাক্তিদের বিচরণ নেই।
নিজের আন্ত বিশ্বাস হলো সবচেয়ে বড় বন্ধু আর এটি যোগে সম্পূর্ণ নিজের থেকে। মানুষ সুধু ব্যর্থতা দেখে হাসে কিন্তু সফলতা দেখে আনন্দিত হয় না। জ্ঞানী তো সেই যে নিজেকে ভালো ভাবে জানে, তাই জ্ঞানী হবার জন্য কাউকে সকল কিছু জানবার প্রয়োজন নেই। নিজেকে জানলে সকল কিছু আপনা আপনি জানতে পারবে। তাই সকল কিছু নিজের থেকে বিবেচনা করবে।
অল্প শিক্ষা ভয়ংকরি অধিক শিক্ষা অহংকারী। শিক্ষার মুল উদ্দেশ্য হলো বিবেককে জাগ্রত করা নিজের বিবেক থেকে ভুল আর সঠিক বিচার করা যায়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/ইউসুফ আলী
আপনার মতামত লিখুন: