আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার মালদ্বীপের সরকারকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে । নয়াদিল্লিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুই দেশের মধ্যে কারেন্সি সোয়াপ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রোববার (৬ অক্টোবর) প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জু। ভারতে পৌঁছানোর পর তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়।
মোদির সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও মালদ্বীপের চাহিদা অনুযায়ী, ৪০০ মিলিয়ন ডলার এবং তিন হাজার কোটি রুপির মুদ্রা বিনিময়ের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া মালদ্বীপে অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য বিশাল অংকের সহায়তা চুক্তি সাক্ষর করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে দুর্বল সম্পর্ক মেরামতের লক্ষ্যে তার এই সফর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, মালদ্বীপের বিপদে সবার আগে ভারতই সাড়া দিয়ে থাকে।
বর্তমানে দ্বীপদেশটি অর্থনৈতিক সংকটে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ঋণখেলাপি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে চাপ বাড়ছে মুইজ্জু সরকারের ওপর। এ অবস্থায় মালদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে ভারত।
মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর মুইজ্জু দাবি করেন, তার সরকার ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে দেবে না। তিনি ভারতকে মালদ্বীপের মূল্যবান অংশীদার ও বন্ধু বলে আখ্যা দেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে ভারতের সহযোগিতাকে প্রাধান্য দেবে মালদ্বীপ।
নির্বাচনী প্রচারে মালের ওপর নয়াদিল্লির প্রভাব কমানোর অঙ্গীকার করেছিলেন মুইজ্জু। তার নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্রে ছিল 'ভারত হটাও' নীতি। জয়ী হওয়ার পরও বাড়তে থাকে দ্বন্দ্ব। এ অবস্থায় মুইজ্জুর ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তায় বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত ইস্যুতে কূটনীতিক ইউটার্ন নিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: