• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জামালপুরে ভাষাসংগ্রামী কয়েস উদ্দিনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৫ পিএম
বিশিষ্ট ভাষা ও মুক্তিসংগ্রামী এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একনিষ্ঠ সহচর
ভাষাসংগ্রামী কয়েস উদ্দিনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুরের বিশিষ্ট ভাষা ও মুক্তিসংগ্রামী এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একনিষ্ঠ সহচর কয়েস উদ্দিন সরকারের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় শহিদ হারুন সড়কে প্রেসক্লাব জামালপুর ও অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাব জামালপুরের সাধারন সম্পাদক ও সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাযযাদ আনসারী।

এছাড়া স্মরণসভায় আলোচক ছিলেন, ভাষা ও মুক্তিসংগ্রাম গবেষণা কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক সবুজ বাংলার সাংবাদিক সুমন মাহমুদ, সদস্য আরজু আহম্মেদ, সংগীতশিল্পী মাহাবুব আলম রতন প্রমূখ।

স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, গত বছর এই দিনে জামালপুরের সর্বশেষ ভাষা সংগ্রামী কয়েস উদ্দিনকে আমরা হারিয়েছি। তিনি আমাদের জামালপুরবাসীর জন্য একটি বাতিঘর এবং কালের সাক্ষী ছিলেন। আমরা হারিয়েছি একজন মানবিক এবং কল্যাণকর মানুষকে। তার স্মরণে বক্তারা শহরের গেইটপাড় স্টেশন রোড যেখানে সে বসবাস করতেন সেই সড়কটির নাম কয়েস উদ্দিন সড়ক, থাকার ঘরটি স্মৃতি সংসদ ও শহরের দয়াময়ী মোড়ে জেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে একটি স্মৃতি স্তম্ভ দ্রুত সময়ে মধ্যে করার প্রস্তাব রাখেন।

উল্লেখ্য, কয়েস উদ্দিন ১৯২৭ সালে জামালপুর পৌরসভাস্থ বেলটিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। আজীবন মাওলানা আব্দুল হামিদ ভাসানীর ঘনিষ্ট সহচর এই মানুষটি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ খুব কাছ থেকে দেখেছেন। ১৯৫২ সালে জামালপুর শহরে ভাষা আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে আয়ূব বিরোধী আন্দোলনে জেল-হাজতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। এছাড়া ৭৫ পরবর্তী এবং ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তাকে মাইক হাতে কখনও খালি গলায় প্রতিবাদী গান গাইতে দেখা গেছে। ২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট ৯৬ বছর বয়সে নিজ বাড়ী বেলটিয়াতে বার্ধক্যজনিত করনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

স্মরণসভা শেষে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আবু বক্কর খোকন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image